Friday, January 17, 2014

পিএনপিসি পর্ব ২

পিএনপিসি পর্ব ২

যারা আগের পর্বটা পড়েছেন তারা জানেন যে এ হচ্ছে অনলাইন গাঁজাখুরির আরেক নাম। পিএনপিসি যে কি লোমহর্ষক জিনিস সে ব্যাপারে তো আগি বলেছি। তাই বেশী গৌরচন্দ্রিকা না করে সোজা কথায় আসি। এই পর্বের গপ্পোটা হয়তো আমাদের অনেকের চেনা কারণ আমরা যারা সুন্দরী পাড়াতুতো দিদিদের প্রেমকাহীনি নিয়ে এককালে মস্ত লোপ্পা ক্যাচ ক্যাচ খেলতাম, তাদের কাছে এ গল্পের বিষয়বস্তু নেহাতই আমড়াগাছি। ও, আর আগেভাগে বলে নেওয়া ভালো যে ভালো এ গল্পর সব চরিত্র কিন্তু প্রায় কাল্পনিক। কারো বিবাহিত জীবনে ব্যাঘাত ঘটানোর দায় মোটেই আমার নয়।

(Image Courtesy: http://memegenerator.net/instance/43425634)

যা বলছিলাম। আমাদের পাড়ায় এক দিদি ছিলেন, যাকে দেখলে পড়েই আমাদের ওই পাড়ার মোড়ের চাওয়ালা কাকু একটা লেরো বিস্কুট এমনি এমনি খেতে দিতো।হাসিমুখে। ওই যখন আমরা রোজ সকালে স্কুলবাস ধরার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম আর  ফুলটুসি দি রোজ লেট করে আসতো। বাসের হেল্পার কাকু (বাবুয়া কাকু) কিন্তু রোজ ওর জন্য দাঁড় করিয়ে রাখতো বাসটা। কি রাগই না ধরতো তখন। আমরা কেউ লেট করলে বকাবকি আর রোজ ফুলটুসিদির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। দেতো হাসি দিতো আমরা কেউ বাবুয়া কাকুকে এই নিয়ে কিছু বললেই। একবার তো আমি ভুল করে ফুলটুসি দিদের বাড়ির ল্যান্ডলাইন নাম্বারটা বাবুয়া কাকুকে বলতেই, ৬ টাকার বড়ো আলুকাবলিটা খাইয়েছিল। ভুল করে কারণ, আমাদের পাড়ারই বপি দাদা প্রায় একমাস বাসে জায়নি, আর যাবে কিনা জিজ্ঞেস করতে বাবুয়া কাকু ওর ফোন নাম্বার টা চেয়েছিল ড্রাইভার কাকুর কথামতো। আমায় জিজ্ঞেস করতে আমি গড়গড় করে বলে দিয়ি নাম্বারটা। ওমনি ফুট কেটে সোনাই বলে, আরে ওটা তো ফুলদিদের বাড়ির নাম্বার। বপিদের নাম্বারের শেষে ৫ আর ফুলদিদের ৪। 

আমি ভুল শুধরোব কি, দেখি বাবুয়া কাকুর সে কি হাসি, পুরো শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টাইপের হাসি। বাবুয়াকাকুর খোয়াবে তখন ও পোসেনজিত আর ফুলটুসি দি ঋতুপর্ণা। যাইহোক, এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, যে এহেন ফুলটুসির দিওয়ানাদের লিস্টটা ইয়া লম্বা। সেখানে এই বাবুয়া কাকু বা চাওয়ালা কাকু আমাদের শ্রেনী বিভাজনের ইতিহাসের মতোই একদম নীচের দিকের কন্টেন্ডার। পাড়ার বড়লোক বাপের বখাটে ছেলে থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিকে র‍্যাঙ্ক করা ছেলে সব্বাই পূজোর সময় ফুলটুসি দির সাথে অঞ্জলি দিতে হেব্বি আগ্রহী। অনেকেই আবার কায়দা মেরে আলাপ জমাতেও চেষ্টা করে। যেমন ওই উচ্চমাধ্যমিকে র‍্যাঙ্ক, আই আই টি টপার ছেলেটি যখন জানতে পারলো যে ক্লাস ১২ এর টেস্ট পরীক্ষায় ফুলটুসি দি ধেড়িয়ে কাত, তখন এগিয়ে গিয়ে বলল-
"হাই ফুলটুসি, আই হার্ড এবাউট ইয়োর র‍্যাজাল্টস ফ্রম আন্টি। ইফ ইউ ওয়ান্ট আই ক্যান হেল্প ইউ আউট"
কথায় আছে সুন্দরী মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তাদের ন্যাকামো। সে ডিপারটমেন্টে ফুলটুসি দি মোটেই কম ছিলনা। ঘাড় ঘুড়িয়ে জবাব দিল।
"হাই দীপ, প্লিজ ডোন্ট কল মি বাই দ্যাট ঘাস্টলি নেম। কল মি ঝিনুক। মাই গুড নেম।"
অলরেডি ঘায়েল দীপদা সেই মুহূর্ত থেকে মরিশাসের সমুদ্র সৈকতে ফুলটুসি দির সাথে ঝিনুক কোরানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করল। 
এদিকে বখাটে রাজা দা ও কম যায় না। যতই সে মস্ত ওচাদের নাইট কলেজে পড়ুক, পাড়ায় তার মতো বাইক কারো কাছে ছিল না। আর সরস্বতী পূজোর সময় আমাদের এক গন্ডা বাচ্চা পার্টির কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়ার টাকাও সে একাই দিতো। যেই না শুনলো সে বিদ্যার বহরের কথা, ওমনি সে বাইক হাঁকিয়ে অষ্টমীর দিন পৌছলো ফুলটুসিদির বাড়ির সামনে। নতুন কেনা মোবাইল ফোন টা বের করে (সময়টা ৯০ এর মাঝামাঝি খেয়াল রাখবেন) তাকে ডাকল নীচে। বলল-
"হাই, নলবনে দারুন একটা ডান্ডিয়া পার্টি হচ্ছে, তুমি যাবে আমার সাথে। ৫০০ টাকা করে কাপল পাস।"
"ওয়াও"- ফুলটুসি দির মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে শুধু নলবন কেন, তারা যে তারপর তন্ত্রাও যাবে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।

 এই পুরো ঘটনাটা আমার নিজের চোখে দেখা। আমি আর আমার পাড়ার বেস্ট ফ্রেন্ড পঞ্চু বেগুনী খেতে খেতে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলাম দৃশ্য টা। একটা বেট ও লরে ফেলেছিলাম যে কে জিতবে শেষ পর্যন্ত। কিন্তু বড়দের নাক গলাতে হল ঠিক তক্ষুনি। পাড়ার সবার জ্যাঠা ভোম্বল জ্যাঠু এসে আমাদের এক খেদানি দিলেন।
"এই যা এখান থেকে। সারাদিন পাকামি করা...আর এই রাজা এসব কি হচ্ছে শুনি। এটা ভদ্রলোকের পাড়া। এক হাত দূরে আমরা বসে আছি দেখতে পাচ্ছিস না। লজ্জা করে না, তোর বাবাকে বলছি দাড়া।"

রাজা দা বা ফুলটুসি দি কি করল জানি না, আমরা দুজন দে ছুট। এতবড় হট নিউজ টা বাড়িতে না বললে চলে। মাইভ ঝাড় খাচ্ছে দুজন দাদা দিদি। পঞ্চুদের বাড়িটা আগে পড়ে। বাড়ি ঢুক্তে না ঢুকতেই শুনি ল্যান্ড ফোনটা বাজছে। মা ই ধরল। তারপরের কথোপকথনের একটা দিকি শুনতে পেলাম-
"কি? কি অবস্থা! কি সাহস ভাবো!"
...
"হ্যা, হবে না কেন... যেমন মা বাবা, তেমনি মেয়ে।"
......
"পাড়াটার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ল। ওই জন্যই তো আগের বার ওর জন্মদিনে যেতে দিয়িনি মেয়েকে।"
......
"আবার ওদিকে আমাকে সেদিন নন্দিনী বলল, দীপ কেও নাচাচ্ছে। কি গেছো মেয়ে"
......
"আর বল কি! ভালো ছেলেটার মাথা চিবিয়ে খেল"
...
"ঠিক বলেছো। মার শাসন নেই। উলটে আস্কারা আছে।"
......
"হ্যাঁ, হ্যা। মনে পড়েছে। ওই সরস্বতী পূজোর দিন তো। দেখেছি। কি পিঠ কাটা ব্লাউজ পড়েছিল না মেয়েটা।"
......
"সত্যি কি ঢলাঢলি। বলি তার দুদিন পড়ে টেস্ট তোর শাড়ি পড়ার দরকারটা কি রে? অতো সাজগোজ।"
......
"উমম! এদের একজনকেও বিয়ে করবে নাকি দেখো...ওর মা তো বলে মেয়ের জন্য এমন জামাই আনবো না দেখো। সবাই হা হয়ে দেখবে।"

আমি বোঝার চেষ্টা করলাম হঠাত বিয়ে কোথা থেকে এল। ততক্ষণে মার ফোন শেষ। আমাকে দেখেই বললেন- "এই তুই ছিলি না তখন...একদম বেশী মিশবি না। ওইসব নলবন টন কিন্তু খুব খারাপ জায়গা।"

মার বকা খেয়ে আবার পূজো মন্ডপে যাচ্ছি। পাড়ার কাকুদের জটলা র সামনেই ছিলাম। শুনতে পেলাম-
"কি আর বলব, বড়দের কোন সম্মান পর্যন্ত করে না।"
"আরে মশাই, মেয়েটার অডাসিটি দেখে তো আমার মাথা ঘুরে জায়...ছেলেটা ডাকল আর তুই ক্লাস টুয়েলভে পড়িস মাত্র...ওমনি ধেই দেই করে নাচতে নাছতে চলে এলি।"

"আরে বোসদা, সেদিন আপনি কি দেখেছিলেন বলুন না। ওই যে সেদিন আমাকে বলছিলেন অটোস্ট্যান্ডে"

"আরে হ্যাঁ ভায়া। আর কি বলব। ওই যে মিত্তির দের ছেলেটা আছে না...তাকে পর্যন্ত ছাড়েনি। আমি সামনে দিয়ে যাচ্ছি কোন হোলদোল নেই। সে কি গল্প দুজনের পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে। আমার গিনী আবার বলল, ও নাকি ফুলটুসি কে কম্পিউটার শেখায়। কি শেখার ছিরি।"

"আরে আমার মেয়েটা বলল ওদের নাকি আবার কি সব পারফিউম সেট দেখিয়েছে। ওই রাজা দিয়েছে মনে হয়।"

"না, বুঝলেন। সেন বাবুকে ডেকে ওনার মেয়ের ব্যাপারে বলা উচিত কিন্তু।" ভোম্বল জ্যাঠু মন্তব্য করলেন।

"আরে ছাড়ুন তো। আমরা কেন ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবো। তাদের ব্যাপার তারা বুঝুক। আমরা মজা দেখি।"

কেউ একটা বলে উঠল। খেয়াল নেই কে। সঙ্গে বিশাল হাসির রোল। আমি তখন ভাবছিলাম, কারা যেন বলে পিএনপিসির ব্যাপারে একমাত্র মেয়েদের আধিপত্য?

বলা বাহুল্য সেবারের পূজোর বাকি সবকটা দিন এবং তারপরে আরো অনেক দিন আররো অনেক মশালাদার আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল ফুলটুসি দি। আজ এতোদিন পর ভাবি, কেউ রাজা দার বাবাকে কমপ্লেন করার কথা ভাবল না কেন? ওর বাবা অনেক টাকা দিত পূজোর জন্য বলে? আর দীপ দা? ও আই আই টিতে পড়তো বলে?


Sunday, January 12, 2014

পিএনপিসি- পর্ব ১

পিএনপিসি- পর্ব ১

বাঙালির অতি প্রিয় টাইমপাস। সেখানে কে কার মাসি আর কে কার পিসি। বলতে গেলে শাহরুখ আর পিসি র প্রেম কাহিনীর হাল হকিকত নির্ভুল ভাবে পঞ্জিকামতে আপনাকে জানাতে পারে একমাত্র পিএনপিসি। স্থান, কাল, পাত্র বিবেচ্য নয়। সঙ্গে ফুলুরি আর মুড়ি হলে মন্দ হয়না। আর চা। সাথে টায়ের ব্যাবস্থায় লুচি ছোলার ডাল থাকলে ব্যাপারটা জমে বেশ।
আমার ব্লগে অবশ্য আমি আগে বিস্তর পিএনপিসি করেছি। সে আবার নতুন কি? বাঙালি লিখছে এদিকে কাদা ছোঁড়াছুড়ি নেই এ আবার হতে পারে নাকি? ওরে পাগল আমরা হচ্ছি কাঁকড়ার জাত। প্রথম বর্ষে একটা দুর্গা পূজো তো পঞ্চম বার্ষিকীতে এক থেকে দুই হলাম আর সেই উপলক্ষে দুই মহলে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হলেও, কার ছেলে মাধ্যমিকে কটা লেটার পেল আর কার ছেলে সাতটা স্যারের নোটস পড়েও হেব্বি ধ্যাড়াল সেই নিয়ে কথার আদানপ্রদান চলতে থাকতেই পারে। কিন্তু আমার মোদ্দা কথা হল পিএনপিসি একটা আর্ট।
 (Image Courtesy: http://memegenerator.net/instance/43425634 )

এই যেমন ধরুন ছোটবেলায় আপনারা প্রত্যেকেই হয়তো দল বেঁধে বেড়াতে গেছেন। আমিও গেছি। বেশ মনে আছে একবার বাবার অফিসের বন্ধুরা এবং তাদের পরিবার- সবাই মিলে এক ট্যুর পার্টির সাথে ঘুরতে গেছি উত্তর ভারতের বিখ্যাত এক পাহাড়ি এলাকায়। জায়গাটা বেশ ভালো। সঙ্গে প্রায় ৫০ জন বাঙালি, ঘোরার থেকে আড্ডা যে কোনো অংশে কম হচ্ছিল না বলা বাহুল্য। বাবার অফিসের কাকুদের এবং কাকিমাদের মোটামুটি চিনতাম। কয়েকজনের ছেলেমেয়ে আবার আমারি বয়সি। সেই সূত্রে আমাদের “বড়রা আমাদের গল্পে নিল না তো বয়েই গেল” একটা হট্টোগোল শুরু হয়েছে। এখানে বলে রাখি আমি তখন ক্লাস নাইন। আন্দাজ করতে পারছেন হাবভাব টা সবজান্তা ধরনের। তা এই ট্যুর পার্টিতে আমরা মানে বাবার অফিসের বন্ধুবান্ধব ও তাদের পরিবারবর্গ ছাড়াও আরও কয়েকজন ছিলেন। এবং অবশ্যই পিএনপিসির মূল আকর্ষণ তারাই হয়ে উঠলেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বলে না দলাদলিতে বাঙালিদের আগে কেউ নেই।
আমরা সংখ্যাগুরু তাই আমাদের কথাই যে সবসময় তামিল হবে তা আমরা প্রায় ধরেই নিয়েছিলাম। রাতে আমাদের খাবারে যদি চিলি চিকেন আর ফ্রাইড রাইয়স চাই তো তাই হবে। ধন্যি বটে বাঙালি, বেড়াতে গিয়েও ওই চাইনিজ খেয়ে পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে এন্টাসিড খাওয়া যায় তা আমি বাঙালি না হলে জানতেই পারতাম না। কিন্তু বাদ সাধলেন একজন।
বেশ চলছিল বেরানো, আপেল বাগান থেকে আপেল পেড়ে খাওয়া। কিন্তু সেই রাত্তিরে প্রায় বছর পঞ্চাশের এক ভদ্রমহিলা, প্রায় মাতঙ্গিনী স্বরে জানিয়ে দিলেন- “অনেক হয়েছে বাপু ওই দলের তোষামোদ। আমি ওই অম্বলের ডিপো খাবো না। আমার পাতলা মাছের ঝোল চাই”।
বেশ হয়ে গেল। মাথায় অল্প টাক কাকু বললেন- “ইশ! বেরানোর মজাটাইমাটি করে দিল রে। কচি খুকি যেন, আসার আগে মেনুটা দেখেননি নাকি।।লেখা ছিল তো একদিন চাইনিজ”।
সুন্দর গান করেন কাকিমা বললেন- “ইশ! বাচ্চাগুলোর মুখগুলো শুকিয়ে গেছে গো”।
যাই হোক সে রাত্তির কোন মতে রক্ষা হলো। মাসিমা খেয়েছিলেন কিনা জানিনা। পরের দিন সকালে বাসে করে সবাই যাচ্ছি কাছের একটা লেক ঘুরতে। প্রথম বোমাটা পড়লো বাসের মধ্যে। আগেরদিন রাতের ঘটনা নিয়ে তখনো বাজার গরম।
সুন্দর সেলাই করেন কাকিমা আচমকাই গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন- “বুঝলে, রাতুলা, আমাদের ঘর তো ওই মাসিমার ঘরের পাশের ঘরটাই...কাল সারারাত ঘুমোতে পারিনি জানো”।
রাতুলা কাকিমা কথাটা আদিরসাত্মক কিনা বুঝে ওঠার আগি সেলাই কাকিমা বললেন- “কি জোরে নাক ডাকে জানোনা। মেয়েমানুষ যে অতো জোরে নাক ডাকতে পারে জানতাম না বাবা”
“এয়, বল কি?”
“আর কি বলব...সারারাত দু চোখের পাতা এক করতে পারলাম না...মনে হচ্ছিল ঘরের দেওয়াল যেন ভেঙে পড়বে। সে কি আওয়াজ কি বলব”।
গন্তব্যস্থলে না পৌছলে হয়ত আলোচনা চলতো কিছুক্ষণ, কিন্তু সে যাত্রা থামতে হল। আমার বাবা তখন আমায় একটা কোডাকের ক্যামেরা কিনে দিয়েছিলেন। সেটা নিয়েই হাত পাকাচ্ছি। কাছেদূরে বেশ গাছগাছালি আছে। দূর থেকে একটা ছবি নেব বলে একটু এগিয়েছি, ওমনি দেখি একটা জটলা।
“এই সত্যি সত্যি হাতির মতো ডাকেরে?”
“আর নয়তো বলছি কি? ওরম আওয়াজ যে কারো নাক ডাকার হোতে পারে ভাবতেই পারিনি”।
ছড়া কাটতে পারেন এক কাকু বললেন “তাহলে তো ওনাকে নাম দেওয়া যেতেই পারে ‘নাকডাকা মাসিমা’”।
একটু রাশভারী জেঠিমা বললেন- “কি দেমাক দেখেছো ভদ্রমহিলার। কেমন করে বলেন কাল”
ফুট কেটে ছড়াকাকু বললেন- “বললে হবে বৌদি। এই বয়সে একা একা ঘুরতে এসেছেন। চেহারাটাতেও বেশ আভিজাত্যের ছাপ আছে কিন্তু”
“আরে রাখো তো আভিজাত্য। থাকে তো মফস্বলে। কি যেন বোড়াল না কি নাম। কিসের এতো অহঙ্কার শুনি”
“একা একা ঘুরতে এসেছে...এদিকে মাছ খায়...সধবা নিশ্চই” রাতুলা কাকিমা ভেবে বের করলেন।
কে যেন বলল- “হ্যা, শাঁখা পলাও তো আছে হাতে”
“তার মানে দেখো গিয়ে বরের সাথে মিল হয়না”
“যা ঝগরুটে, হবে কি করে” রাশভারি জেঠিমা যে বেজায় খচেছেন বোঝাই গেল।
“যাই বলো। হেভি মালদার কিন্তু” আবার ও সেলাই কাকিমার অবদান চোখে পড়ল।
“কি করে জানলি?”
“আরে, আমায় বলছিল সেদিন...ছেলে আছে ওনার একটা। স্টেটসে থাকে...আমার বোনের জন্য ভাবছিলাম আর কি”
“এই আর কি জানিস বলনা”
“এই যে ওখানেই সেটলড...উনিও নাকি ওখানেই থাকেন বছরের অর্ধেক সময়। এখানে এসে হেচে কেশে প্রান যায় আর কি”
“ওই জন্যই অতো দেমাক...হঠাত করে পয়সা হাতে এলে যা হয়” বলে উঠলেন ভবানীপুরের রাশভারী জেথিমা। একটা দীর্ঘশ্বাস পড়লো মনে হলো। বুকুন দাদা দিক আমাদের দলে খাপ খায়না। আবার বাবাদের দলেও না। বাবা মা র সাথে ঘুরতে এসেছে কিন্তু সারাটাদিন যে বেজায় বোর হচ্ছে আমরাও বুঝি। পড়াশুনোর পাট চুকেছে প্রায় ২ বছর। ভালই ছিল পড়াশুনোয় শুনেছি...কিন্তু এখনো চাকরীবাকরী জোটেনি কোন।
“সেরকম কেন বলছেন...ছেলেটা কেরকম জানতেই তো জিজ্ঞাসা করছিলাম”
“সাবধান...কি না কি কাজ করে দেখো গিয়ে...বিদেশের নামেই কাটে”
“তা দিদি, কিছু না করার থেকে তো ভালো”
ছড়াকাকু সম্ভাব্য মনোমালিন্য কাটাতে বললেন- “তা বরের ব্যাপারে কিছু বলেনি?”
বেশ! এক মুহূর্তে পরিবেশ আবার হালকা হয়ে গেল।
“না... দাঁড়াও তো এটা তো জানতে হবে”
“হাইলি সাসপিশাস কিন্তু” গোয়েন্দা সুর বলল ছড়াকাকু।
“আরে তোমাদের পাল দা কিছু জিজ্ঞেসই করতে দেয়না”
“এই এটা খুব খারাপ করো কিন্তু পাল দা”- হঠাত যোগ দিলেন মাউথওরগ্যান কাকু। এতক্ষণ চুপচাপ শুনছিলেন।
“হ্যা, বেশ ভালোই রসদ যোগাচ্ছে তোমাদের” হইহই করে হাসির রোল উঠল।
“যাই বল, ওই নাক ডাকার ব্যাপারটা কিন্তু দারুণ” খিলখিলিয়ে বললেন গানকরা কাকিমা “আমার শুনতে ইচ্ছে করছে খুব।...শুনলে হয় কিন্তু আজকে রাত্রে”
“চলো একটা প্ল্যান করা যাক।" একটা বেশ হট্টোগোল শুরু হলো।
ফেরার সময় হয়ে এসেছিল বোধহয়। নাকি অন্য স্পটে বেড়াতে যাওয়ার। মনে নেই ঠিক এখন আর। রাতের বেলা প্ল্যান টা হয়েছিল কিনা সেটাও এখন আর খেয়াল নেই। হলেও আমাদের দুধভাত বলে বাদ দেওয়া হয়েছিল মনে হয়।
তবে এটুকুনি স্পষ্ট মনে আছে বাকি দুদিন, বা বলা ভালো তৃতীয় দিন আমাদের ট্রেন হাওড়া স্টেষনে ঢোকা অবধি “নাক ডাকা মাসিমা” ছিলেন আমাদের পুরো গ্রুপের মোস্ট টকড এবাউট বিষয়। আমরাও বেশ রাত্তিরে ট্রেনে বসে উনি কেরকম জোরে নাক ডাকেন তা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। 
এখন ভাবি আর বলি...ভাগ্যিস তখন ফেসবুক ছিল না। থাকলে যে কি হতো! বেচারা মাসিমা একটাই ভুল করেছিলেন। তার যে কি খেসারত দিলেন। আবার একদিক দিয়ে ঠিক ও ছিল। ফ্রাইড রাইস আর চিলিচিকেন নিয়ে কথা। সাহস ভাবুন একবার।
তবে লেখাটা যদি পড়ে যদি ভেবে বসেন বাঙালিরা শুধুই বেড়াতে গিয়ে, খুশির মেজাজে পিএনপিসি করে তাহলে সে গুঁড়ে বালি। চোখ রাখুন। পড়তে থাকুন J

(ওই দেখো ভেবেই নিয়েছে এই গাঁজাখুরি গপ্পো গুলো কেউ পড়ে!) 

Thursday, January 9, 2014

The Bucket List

A week back most of us were busy making lists. It was the time of "New Year celebrations" and making a to do list for the upcoming year is the cliche which has remained in fashion always. But how many of us actually fulfill all that is called "resolutions"? I do not and that is the sole reason I do not make "New year to do list". 
It was all hunky dory till that time until yesterday when I realised I am suddenly on the wrong side of 25. 

Shit! did you think I am fretting over wrinkles and under eye circles? Not that I do not resort to those kind of self fretting, but this time the realisation was more than about just growing old. It was about somethings in life which I always wanted to do but kept on pushing just by the thought of "oh! there is enough time..may be tomorrow!" What if there is no tomorrow? No! seriously, I do not intend to sound like I am dying, I only meant what will happen if the museum that I have always wanted to visit suddenly shuts down? Or the random piece of jewellery that I always wanted to own is no longer available? And to top that I have already lived 25 years of my life and have not done anything to see that happen. 

All that and much more made me think about jotting down a bucket list. A list of things which I always wanted to do and will love to do in the coming years. Bucket Lists are actually fantasy novels which we write for our own selves :) It is only those moments which make life worthwhile and for anybody who knows me, must be knowing how much I believe in the philosophy of "living for the moment".


1. Travel around the world - OK! this sounds cliched and must be there on everybody's bucket list but it had to be there for mine too. I was lucky to be born to parents who were both travel hungry. So I had the advantage of starting early. You name any of the 'to do destinations in India' and chances are that my parents have already been there and I tagged along. But one thing that travel has imbibed in me is the fact that it is not always about destinations....it is also about fulfillment. So, you will find lesser known places like Shimultola, Deogarh, Falta, Sarnath, Chandipur or Rajgirh featuring in my parents' travel map apart from the usual big suspects. Precisely the reason I want to travel and find out about anything and everything that makes the world go round.

2. Publish my own book- That is something I have dreamed about for so long that even I cannot imagine. My own book and handing out an author signed copy to one of my fans who may say "Didi, apni boddo bhalo lekhen. Ki kore je amar moner kotha bolen" ("You write so well. How do you understand my feelings so well!") Gosh! that day will be like something in the league of me owning one of those Solitaires which Sushmita Sen and Shilpa Shetty made so fashionable. Yes! that big rock I mean.

3. Read- Anything and everything. Since childhood I have been blessed with one good quality which never lets me get bored about anything. The habit of reading- anything and everything under the sun. I may have a hearty laugh about every so called trashy novel that everyone is busy writing nowadays, but the truth is that I read all of them. You can go and judge me now. But I just hope I continue to do so- from reading nondescript magazines to the latest bestseller to the ones termed "classic literature" and in both Bengali and English. I will die if I am monolingual. And probably German too ;)

4. Owning a huge rock - Admit it, if you are a girl you cannot possibly overlook the charm of Diamonds. And though my husband already gifted me a perfect piece of Solitaire during our wedding, I just wish the rocks keep on getting bigger and better with every passing year :P Come on do not give me the look about me being so greedy. Even you want to own one of those Sushmita Sen kind of solitaires. The finger ring I mean...my piece of attraction! The one that can make everyone around Super 'J'.

5. Owning the most beautiful collection of clothing/accessories- I have no qualms in admitting that I have that tinge of jealousy rushing through my veins whenever I see someone wearing something exquisite and beautiful. That may be something as insignificant as a Rupees 35 earring from the shopaholics' paradise "Gariahat". I want to own them all....even though I do not know when and what to wear that printed cotton sari I saw on that online shopping website, with. Hell yeah! I want to possess it :)

6. Meet in person all the friends and foes I made online- We have to admit that our generation grew up in a tinderbox of online complications. Friends were made,couples dated, relationships went kaput- all happened online. And there is no denying it. I have made friends, foes and random acquaintances....people with similar tastes and background. The ones if I had met in person, who would have made the so called "besties". I hope one day I meet all of them, in person.

7. Do all the routine sweet nothings-I know it is routine and boring, but who told boring is not awesome? I want to do all of them..like holding his hands and dancing down the Keukenhof fields  or prancing around in sari just like a Yash Chopra heroine in the pristine backdrops of Switzerland. I want to do all of that. Did I say that I love Bollywood? Add to that, watching ganga arati in Varanasi and watching a beautiful sunset over the Taj Mahal along with him :) I am a die hard romantic. 

8. Get married again- Yes! I have no idea how  my husband is going to react to that but I surely want to get married again..of course to the same guy! I do not mind getting married again in the traditional style- Ala red benarasi sari and gold jewellery, but I definitely want to have a beach wedding and a Vegas wedding some day. That Vegas bit is a little bit of 'FRIENDS' hangover. My mom always told that American television turned me into a crazy being :P

9. Family- I am blessed with a wonderful family and sometime in the future I want to be a mother and have wonderful kids. Not exactly now, but sometime in the future. I just hope I continue to have the wonderful close knit family that I have. My parents, my in laws, my sister-who will always remain my first kid, how big she may grow, my brother in law, my grandparents, chotoamma, dadubhai, My pishimoni, pishon, didibhai, shake da, bhai, tai, Mamabari...everyone!

10. Money- I have earned quite a bit (strangely which has also been a part of much speculation) and thankfully God has been kind on that front. I just want him to be kinder. So even though I might cry over the professional hazards (we all do, we are never happy with our own jobs!), I just want to earn some good money so that I can fulfill some bit of everything mentioned earlier. The saying goes that Money cannot buy you happiness, but yes! it can help you to reach somewhere close by. So while I am on this break and having a gala time in Europe, there is a little part of me who will be happy to go back and start playing office office again and I will not deny that it will be for the cash that flows in. After all money can definitely buy you some securities and I am not the one to complain here :)

Actually, all I want is everything :)

Saturday, January 4, 2014

Special post- Chandrobindoo turns 25!

It is often told that Bengalis find expression for all their emotional travelogues (Calcutta to Howrah!) in Tagore's songs. That Dadu has given words for all our emotions, upheavals and more is something I dare not debate. As a quintessential Bengali, I very well know the effect "Aaj Jyotsna Rate Sobai Geche Boney" coupled with "Old Monk" had on my friendly neighbourhood dada- umm, let's call him Poltu da, after a painful break up with the "Shundori" (Beautiful) girlfriend who did not think twice about trading his undying love for the MBBS husband. Ah! that typical bong fascination for "lyengi". 

Lyengi is actually an art in Bengal. One that has given rise to so many poets and singers who wrote odes to their lady loves with moist eyes and good old "Old Monk". But then again, the 90's Bengali men and women who decided to not to remain unaffected by the changes that globalisation was gradually doing to their friendly "chayer thek" wanted a more vocal alternative for their everyday being. Be it love, politics or just being Bengali. Everything which a Bengali loves.

And then came Chandrobindoo. The rest they say is history.

As a Bengali girl growing up in a South Calcutta neighbourhood in 1990's, remaining unaffected by the Bangla band scenario was impossible. I liked Bhoomi and some works of Cactus, but it was Chandrobindoo who made those overtures of Poltu Da during Durga Pujo bhashan or the continuous efforts that he made to appease the snob daughter of Mr. Chatterjee in our neighbourhood, utterly believable. Their first album had a song called "Sweetheart" and it was more than true that Chatterjee uncle's daughter had, while introducing her NRI fiance to us, had taken a special exception for Poltu da and called him- "Oh! Sujoy, meet Poltu...he is like my brother you know...he stays just opposite our house". This was 1999. NRI husband meant the big ticket to fame and she did just the same. While the above mentioned song described the Bengali woman's fascination for their "Pistuto" brothers ("cousins"), we saw more of the rakhi brother game being played just in front of our eyes. That was the first pillar of truth Chandrobindoo established for me, even though I heard the song much later but I could make an instant connection :)

To say that Chandrobindoo only gave voice to a heart broken lover's whims will be such an insult. If there was anybody who brought "humour" and "sarcasm" to the already cluttered Bangla band scene, it was them. Chandrobindoo appealed to all those Bengalis across the world who could understand our shortcomings as a race. Their song "Aamra Bangali Jaati" came during a time when we had just started jostling for our space in the world map post the globalisation. Calcutta as a city was waking up to the changing times. The times they had understood that those days of brutally romantic 70's and 80's were over. If we had to survive and make the city tick, we had to fight...but! there is always a but in a Bengali's life....the fact that we as an 'intellectual' race had to rub our shoulders with "Paanjabis" and "Meros" was completely unacceptable to us. The stiff upper lipped uncle in my neighbourhood often discarded the overwhelmingly popular Information Technology revolution and the predominance of "Made in America" in our lives as a 'Capitalist conspiracy' and that actual "Bilet" was always London and never New York! So when Chandrobindoo decided to poke fun about our stake to intellectual supremacy via the Nobel laureates that only Bengal seems to have produced, it never sounded odd. We all do that. Period. We all say "Marwaris have no kaaalturrr" and then share social space with them in Calcutta Club as we have to accept a hardworking race's claim to economic supremacy. It is even ironical that we Bengali often claim to be the "most modern, secular minded and non communal" beings. Yes! even after those 'Paaiya' and 'Mero' jokes.

This is where I feel Chandrobindoo touched the perfect chord with our generation. Their lyrics, penned by the oh! so charming Anindya and the one and only Chandril, reflected the story of our lives. My father always thought Rabindranath is the best thing to happen to literature (and I still think Sourav Ganguly is the best thing to happen to Cricket), but I also understand that the definition of what is best can never be decided in societal terms. More so when, today we are waking up to the rise of the entrepreneurial risk loving Bengali who does not mind opening their own start ups.

If that last paragraph made you think that Chandrobindoo was supposed to make light hearted music, when did it become so heavy on us....relax! For me and for everybody of my generation, Chandrobindoo will be the ones who made those expressions of love and falling out of love so easy, so gentle and so believable. I sometimes wonder whether it was the fact that the very cute Upal and the very charming Anindya in front of the microphone that made those words so believable. Anindya will probably be the only bearded man in the history of this mankind that I had a very special soft corner for. Apart from Robi Thakur that is. (That bit is always understood. I am a Bengali :P)
I met Anindya once in the Calcutta Book fair. I took his autograph and conveyed to him about how much I liked his songs. All along, I gushed like a school girl. My husband was standing besides me and he could not believe it was the same me who was still sometime ago fighting with the very obnoxious Calcutta taxi driver for a ten Rupee change!

Well! to think of what made the romantic songs, the ones I consider among the many of their songs to be my favourite, tick and stand out is a question that cannot be answered without a reference to the city which makes all of us "fall in love". The city that has "Ei shohor janey amar prothom sobkichu" written all over, for (admit it) many of us. (That is a Kabir Sumon song. Just for the uninitiated.)

Calcutta, has been a character in many of Chandrbindoo's songs. I cannot imagine the innocence of giving up everything for love or as the way the love of out lives wished happening in any other city in this world apart from Calcutta. May be it is my imagination, but in this world of everyday rush from our pigeonhole apartments in Borivali, New York, Gurgaon or Rajarhat to our air conditioned office spaces anywhere in this world- can any place offer the solace, the peace, the warmth and the love of a life long forgotten in the meandering lanes of North Calcutta?

The answer will be an overwhelming No! We all crave for that life that we left behind. I have never lived in North Calcutta. I have never lived continuously in the house I prefer calling "Home" situated in a South Calcutta neighbourhood since I was seventeen. But still, most of my memories of the life I so much loved/love, still belongs to that place. The times when the neighbourhood Poltu da sang "tomake shonabo Joy Goshayi/ Tomar babake meshomoshayi" to woo the girl of her dreams which often turned out to be every girl who crossed his path! His efforts to say "Tumi amar CPM/ Tumi amar ATM/Tumi amar series premer seshta" was commendable though! :P

I am sure there were Poltu Das' aplenty in all our lives. All of whose "Modhyobitto bhiru prem" (the faint hearted middleclass love) never came true :)

But does that stop us from falling in love? No! Because Chandrobindoo's music often celebrates the quirkiness of the unachievable. Be it love or be it the need of societal approval (again!) or the celebration of the only thing that remains constant in a Bengali's life- the long standing companion which we often prefer calling "paashbalish".

As Chandrabinoo celebrates twenty fifth year of their existence, let's raise a toast to the ones who made our growing up years the most memorable ones. The years that have often turned out to be the "bhindeshi tara" of our lives. But for the men who made the journey memorable (staring from the time I was introduced to their music by the humble(?) "Duniya DotCom" by two classmates), all I want to say is please keep making the wonderful music. Some people say that the unique humour that we associate with Chandrobindoo's songs have waned, but I think if you do not make songs like "Bola Baron"  or "Muhurtora" now, then may be the musical journey of our generation will not mature. Officially, "Aparajita Tumi" it is not a Chandrobindoo album, but the overwhelming presence of the two Chandrobindoo front men makes me include the song.
The later is just an overwhelming culmination of the journey that we have all undertaken in our lives.

As they say "Muhurtora, Muhurter kache wrini", we all have those memories and those moments which makes this incredible celebration of life possible and an amazingly beautiful journey. As an ardent fan, I am happy the maturity in their music shows. Please keep on giving the background music and lyrics for all our everyday struggles in our lives....for those forlorn nights which are made memorable by the whisper of those long forgotten memories :)


P.S.- I was in two minds about writing this post in English. Things which are close to heart, like Chandrobindoo and their songs, deserve the beauty of expression in Bengali, my mother tongue and the language the band had chosen as a medium of their creative expression. But I decided to stick to English primarily because if there are any non Bengali speaking reader of my blog (I presume that people read my blog...I am a bit self obsessed you see :P), they deserve to know the beautiful music Chandrobindoo makes. Secondly, the inherent Bengali-ness of their songs make them ethereal and universal. Do you spot the incoherence and dichotomy? That is what marks the journey of the maverick music makers of my youth and an entire generation of Bengalis special. Happy Birthday!

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...